প্রকাশিত:
২ ডিসেম্বর, ২০২৫

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রথম হামলার পর বেঁচে যাওয়া প্রত্যেককে হত্যা করতে হেগসেথ যে নির্দেশ দেন, সেটি প্রতিপালনে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভেনেজুয়েলার বিষয়ে সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প রবিবার জানান, নৌযানটিতে দ্বিতীয় হামলা চাইতেন না তিনি এবং এ ধরনের আদেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন হেগসেথ।
যদিও তার এ বক্তব্যের এক দিন পর সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট জানান, নৌযানে হামলাগুলো চালাতে অ্যাডমিরাল ফ্র্যাংক ব্র্যাডলিকে অনুমতি দেন হেগসেথ। নৌযানটি ধ্বংসের পাশাপাশি অ্যামেরিকার প্রতি হুমকি নির্মূলে নিজ কর্তৃত্ব ও আইনের মধ্যে থেকে আদেশ দিয়ে ভালো কাজ করেছেন অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি।
লেভিট জানান, অ্যামেরিকার স্বার্থ সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলাগুলো চালানো হয়েছে ‘আত্মরক্ষার্থে’ এবং সশস্ত্র সংঘাতের নিয়ম মেনে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন এসব মাদক সন্ত্রাসীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়েছে।
সমালোচকরা ভেনেজুয়েলার নৌযানে হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক উভয় পার্টির আইনপ্রণেতারা বিষয়টিতে নজর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডন্ট ট্রাম্প। শনিবার তিনি জানান, ভেনেজুয়েলার ওপর ও আশপাশের এলাকার আকাশসীমা সম্পূ্র্ণভাবে বন্ধ ধরে নেওয়া উচিত।